অনুব্রতর গড়ে অমিত শাহের রোড-শো করে ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল বিজেপি। পাল্টা মঙ্গলবার পথে নামলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতিয়ার বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির আবেগ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাস্তার দুধারে ও মিছিলে ছেয়ে গিয়েছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাটআউট।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলার সংস্কৃতি ও বাঙালির আবেগকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তাতে ইতিমধ্যে বেশকিছু গলদ করে বসেছেন তাঁরা। আর সেই ফাঁক ফোকরকেই পাল্টা হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। এদিনের মিছিলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের চেয়ে আধিক্য ছিল সংস্কৃতি জগতের মানুষের। উল্লেখ্য, যে বাউলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ, এদিন সেই বাউলও পা মিলিয়েছিলেন এই মিছিলে।
এদিন বোলপুরের লজ মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রা শেষ হয় জামবুনি মোড়ে। মিছিল শেষে রবি ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শোয়ের একদম সামনে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ শতাব্দী রায়। ছিলেন বাউলরা, কীর্তনীয়ারা এবং ঢাকিরা। ঘোড়া নাচ, সাঁওতাল নাচে রোড শো হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মঞ্চ। রাস্তা দুধারে থাকে মহিলারা শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীকে।
তৃণমূলের দাবি, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে আড়াই লাখের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ পদযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন, তো কিছু মানুষ রাস্তার দুধারে দাড়িয়েছিলেন। সেই ভিড় সামাল দিতে শেষপর্যন্ত দড়ি দিয়ে রাস্তার দুধার আটকে দেওয়া হয়। এদিনের রোড শোয়ে তৃণমূল নেত্রী ছিলেন চেনা মেজাজে। ভিড়ের চাপে কখনও শ্লথ হয়েছে পদযাত্রার গতি। কখনও তৃণমূল নেত্রী নিজে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের কুশল সংবাদ জেনেছেন। যা দেখে এদিন ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি বড় ইস্যু হতে চলেছে বঙ্গ সংস্কৃতি ও বাংলার মণীষীরা।