এবার আন্দোলনকারী কৃষক নেতাকে খুনের হুমকি! ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতাকে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকরিতকে ফোন করে কেউ বা কারা খুনের হুমকি দেয়। এরপরই তাঁর সহকারী অর্জুন বালিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে সিটি পুলিশও। পুলিশ সুপার জ্ঞানেন্দ্র সিং জানিয়েছে, কৃষক নেতার ফোন নম্বরে নজর রাখা হচ্ছে। ফোন নম্বর ট্রেস করার কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অপ্রীতিকর ব্যবস্থা এড়াতে আন্দোলনস্থলেও পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ফোনটি এসেছিল বিহার থেকে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভাঙতে কি তবে শাম-দান-দণ্ড-ভেদের পথে হাঁটা হচ্ছে?
২৯ ডিসেম্বরের বৈঠকের আগে কেন্দ্র তিন কৃষি আইন, বিদ্যুৎ বিল এবং বিচালি জ্বালানোয় জরিমানার প্রস্তাবগুলি প্রত্যাহারের সম্মতি দিলে তাঁরা মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় বৈঠকে যেতে রাজি। পাশাপাশি এমন হুমকিও দেওয়া হয় যে, যদি সেদিন কেন্দ্র আইনগুলি প্রত্যাহার না করে, তাহলে পরদিন কৃষকরা ট্রাক্টর মিছিল করবেন। উল্লেখ্য, পরবর্তী বৈঠক কবে ও কখন হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব কৃষকদের উপরই দিয়েছিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, অতীতে বারবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমররা বার্তা দিয়েছেন যে, আলোচনায় আসতে হবে খোলা মনে। অর্থাৎ আগে থেকে কোনও শর্ত চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। কারণ এভাবে কৃষকদের চাপের কাছে মাথানত করে আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া সরকারের কাছে অসম্ভব। এই জায়গাতে এসেই আটকে যাচ্ছে মঙ্গলবারের বৈঠকে জট খোলার সম্ভাবনা। বলা ভাল, জট খোলা তো দুর, এভাবে শর্তসাপেক্ষে বৈঠকে বসার কথা বলায়, কেন্দ্র আদৌ বৈঠক ডাকবে কিনা তাও প্রশ্নের মুখে।