রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই কয়েক’শো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে প্রকাশ্য সভায় জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, বিধায়ক অখিল গিরি সরাসরি শুভেন্দুর নাম করেই বলেন, “শুধু পরিবহণ দফতরে ৭২৫ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ফাইল সামনে এসেছে।” শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগে এনেছেন অখিল গিরি।
শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, “বাংলার অনেক জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছ। কাঁথিতে চারটে ফ্ল্যাট। কলকাতায় পাঁচটি ফ্ল্যাট। পরপর সব কেলেঙ্কারি বেরোচ্ছে।” অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “তৃণমূলে ২১ বছর ধরে থেকে লজ্জিত।” সেই মন্তব্য নিয়েও শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন অখিল গিরি। তিনি বলেন, “তৃণমূলে ছিলে, ১০ বছর ধরে পাইলট কার, হুটার বাজিয়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরেছ। ৪০ জন পুলিশ পাহারা দিয়েছে। দল তোমাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। দলের খেয়ে বড় হয়েছ।”
বিজেপিতে যাওয়ার দিন থেকে শুভেন্দু নিজেকে ‘সত্’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। নিজে সাধু হয়ে পুরনো দল ও সরকার সম্পর্কে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আক্রমণের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেকের নাম না করেই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ হিসেবে দেগে দেন। এরপর শনিবারই প্রথম তৃণমূলের মঞ্চ থেকে পাল্টা শুভেন্দুর দিকে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হল।
এদিকে, শুভেন্দু বিদায়ের পর গুরুত্ব বেড়েছে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের। পরিবহণ দফতরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পেয়েছেন। প্রচারে নেমে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। এ দিন পানিহাটিতে তৃণমূলের এক সভায় স্বমেজাজে ছিলেন এই প্রবীণ নেতা। শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন, “শুভেন্দু কোনও বাঘ নয়, কাগুজে বাঘ। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছন। কিন্তু দলকে পালটা ফেরত দেননি।” মদন মিত্রের দাবি, বুথে বুথে শুভেন্দু অধিকারী তৈরি করব। না হলে পার্টি ছেড়ে চলে যাব।