লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। পার্টি অফিস ভাঙচুর, কর্মী খুন প্রায় রোজকার ঘটনা। গতকাল বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে টিএমসি’র বঙ্গধ্বনি যাত্রার মিছিলে ফের হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা স্বপন গায়েন।
এই ঘটনায় রায়দিঘি থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যদিও, বিজেপি হামলার অভিযোগ নস্যাত্ করে দেয়। শনিবার বিকেলে রায়দিঘির চাপলা থেকে বঙ্গধ্বনি যাত্রার মিছিল শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিছু দূর মিছিল যাওয়ার পর দিঘিরপাড়-বকুলতলা গ্রামপঞ্চায়েতের করালিচক গ্রামের কাছে মিছিলের উপর হামলা হয়। বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী লাঠি-বাঁশ নিয়ে তৃণমূলকর্মীদের উপর হামলা করে।
অতর্কিতে হামলায় টিএমসির মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বেশ কয়েক জন তৃণমূলকর্মী গুরুতর আহত হন। আক্রান্ত কর্মীদের চিত্কার শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো এলে, দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। এই হামলার জেরে স্বপন গায়েন নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মাথায় ও হাতে চোট লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।
শনিবার বিকেলের এই ঘটনার পর জগদীশ হালদার, সঞ্জয় হালদার, সমীর হালদার, সুভাষ হালদার ও প্রণব মিস্ত্রি নামে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রায়দিঘি থানায় লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপন গায়েন নামের সেই তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের মিছিলে হামলার খবর পেয়ে আক্রান্ত নেতার বাড়িতে যান জেলার বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য শান্তনু বাপুলি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।