বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংসদের তোপ, ‘হিংসাশ্রয়ী দলের হিংসাশ্রয়ী মানুষ উনি (দিলীপ ঘোষ)। একজন গুণ্ডা, শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন, প্রতিনিয়ত হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। এভাবে হুমকি দেওয়া ও হিংসা ছড়ানোর জন্য ওনাকে গ্রেফতার করা উচিত।’
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই নিয়ে তরজা চলছে দুই রাজনৈতিক দলের। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণে বিঁধেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁর অভিযোগ, বাইরে থেকে বিজেপির পর্যটক এসে বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। দাড়ি রাখলে আর লম্বা পাঞ্জাবি পরলে কেউ বিশ্বকবি হয়ে যান না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন বিজেপির পর্যটকরা রাজ্যে এসে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছে। সরাসরি মোদী অমিত শাহকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, দাড়ি রাখলে আর লম্বা পাঞ্জাবি পরলে বিশ্বকবি হওয়া যায় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন না জানানো নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিজেপি পাল্টা চিঠি প্রকাশ করে দাবি করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যাননি। মমতা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন সেটা বিজেপির অনুষ্ঠান ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। নানা নামে হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুক গ্রুপ খুলে রাজ্যের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি দাবি করেছেন একমাত্র বাংলায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। তার পরেও বিজেপির মহিলা নেত্রীরা রাজ্যের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে ভুল বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি। রাজ্যে জন্য প্রশংসনীয় উন্নয়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। অভিযোগ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের।