সদ্য দলে যোগ দেওয়া নবাগতদের সংবর্ধনা দিতে শনিবার সকালে বিজেপির তরগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢোকার মুখে বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল ত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এই ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ শনিবার তৃণমূল ভবনে তিনি বলেন, ‘বিজেপি দুষ্কৃতীদের দল৷ ভারত জুড়ে তারা কি করে এসেছে সবাই জানে৷ এখন বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে বাংলায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে৷’ পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। একটা লোক তৃণমূলের টিকিটে দুবার জিতে পার্টি ছেড়ে দিচ্ছে, এটা লোকে মেনে নিতে পারছে না। দলত্যাগ বিরোধী আইন ভঙ্গ করেছে সুনীল মণ্ডল। পার্টি ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’-র মধ্যে বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমি ঢুকে গিয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য অমর্ত্যবাবুকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এদিন সেই ইস্যুতে কাকলি বলেন, উনি শুধু বাঙালির ছেলে নয়, বিশ্ববাসীর ছেলে৷ ওনার লড়াইয়ের আমরা সবসময় পাশে আছি৷ অন্যদিকে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নাম না করে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পলদের আক্রমণ করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ বলেন, বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত৷ এখানে কড়া হাতে দুষ্কৃতি দমন হয়৷ বিজেপির কিছু পুরুষদের পাশাপাশি ওদের দলে মহিলা নেত্রীরাও মহিলাদের বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে। আসলে এঁরা সমাজের জন্য কোনওদিন কাজ করেননি। এঁদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই৷ শুধু মানুষকে উস্কে যাচ্ছেন৷