আগেই কেরালার পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে পদ্মের। রাজস্থান পুর নির্বাচনেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে ৫০টির মধ্যে ৩৬টি পুরসভায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। এবার উপত্যকাতেও একই হাল হতে চলেছে তাদের। মঙ্গলবার কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোটে বিজেপির চেয়ে এগিয়ে আছে ১১ টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে আছে আটটি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে আছে দু’টিতে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথমবার কোনও ভোট হল জম্মু-কাশ্মীরে। গুপকার জোটের নেতৃত্ব আছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। এছাড়া আছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিডিপি। ভোট হয়েছিল মোট ২৮০ আসনে। ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়েছিল বলে গণনায় সময় লাগছে বেশি। গুপকার জোটের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই ভোটেই বোঝা যাবে, জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ কী চান।
মঙ্গলবার সকালে পিডিপি অভিযোগ করে, সোমবারই তাদের দলের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। যে পিডিপি নেতারা বন্দী হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আছেন নইম আখতার, মেহবুবা মুফতির কাকা সরতাজ মাদনি এবং মুফতির প্রাক্তন রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিরজাদা মনসুর হুসেন। পিডিপি জানিয়েছে, গান্দেরবাল জেলায় তাদের দলের সভাপতি বশির আহমেদ মিরেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত তিনিও বন্দী হয়েছেন। মুফতি টুইট করে বলেছেন, ‘কেন আমাদের দলের নেতাদের বন্দি করা হল তা রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় পুলিশ অফিসাররাও জানেন না। তাঁরা বলছেন, উপর সে অর্ডার আয়া।’ মুফতির দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে এখন আইনের শাসন নেই। পুরোপুরি গুন্ডারাজ চলছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নইম আখতারের গ্রেফতারের খবর পাওয়ার পরে মুফতি টুইটারে লেখেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। পিডিপি-র নইম আখতারকে অপহরণ করেছে পুলিশ। তাঁকে এমএলএ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে বিজেপি জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোটে কারচুপি করতে চায়। কেউ যাতে বাধা দিতে না পারে, সেজন্য এত লোককে গ্রেফতার করছে।’ পরে তিনি লেখেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে।’ সোমবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ নইম আখতারের মেয়ে শেহরিয়ার খানুম টুইটারে লেখেন, ‘আমার বাবাকে আটক করা হয়েছে। আমরা জানি না কেন তাঁকে আটক করা হল। পুলিশ সরকারি আদেশের কোনও কপি আমাদের দেখাতে পারেনি।’ সরতাজ মাদনির ছেলে আরুত মাদনি বলেন, তাঁর বাবাকে অনন্তনাগ জেলার খানবালে সরকারি বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।