ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। গত জন জুন ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ করার পর ‘করোনিল কিট’ এবার পৌঁছে গেল যুক্তরাজ্যেও। সেদেশের চিকিৎসা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সংস্থার কোনও ছাড়পত্র ছাড়াই চলতে তার অবাধ বিক্রি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’তে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ মেডিসিনস্ অ্যান্ড হেল্থকেয়ার পোডাক্টস্ রেগুলেটরি এজেন্সি’র ছাড়পত্র ছাড়াই একাধিক ওষুধের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে পতঞ্জলির ‘করোনিল’। তবে ‘করোনা বধে’র ওষুধ হিসেবে নয়, করোনার প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে সেটি। যদিও সেটাও নিয়মবিরুদ্ধ। আর তাই বিতর্কের মুখে বাবা রামদেবের সংস্থাটি।
বিবিসি কর্তৃক প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যে নিজেদের পরীক্ষাগারে করোনিলের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় কোনওভাবেই সাহায্য করে না এই করোনিল। এদিকে, এমএইচআরএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশদে তদন্ত হবে। ছাড়পত্র না পাওয়া কোনও ওষুধ যদি ব্রিটেনের মার্কেটে বিক্রি করা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ
ব্যবস্থাও নেওয়া হবে, জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুনেই মহাসমারোহে ‘করোনা বধে’র ওষুধ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল করোনিলকে। সাংবাদিক সম্মেলনে বাবা রামদেব জানিয়েছিলেন, এই আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রয়োগে মাত্র সাতদিনে ১০০ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পতঞ্জলির সেই ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যতক্ষণ না তারা ওষুধটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, ততক্ষণ এর সমস্ত প্রচার ও বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখতে হবে। এমনকী পতঞ্জলির থেকে গবেষণার সমস্ত তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সবকিছু পরীক্ষার পরই আয়ুশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, এটিকে করোনা বধের ওষুধ বলা যাবে না। রোগ প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবেই বিক্রি করা যেতে পারে। এরপরই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয় পতঞ্জলির এই দ্রব্য। সম্প্রতি সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়, ইতিমধ্যে করোনিল বিক্রি করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বিপণনও সেরে ফেলেছে পতঞ্জলি।