মৃত্যুর পরও ফুটবল রাজপুত্রকে নিয়ে চলছে দীর্ঘ টানাপোড়েন ও জটিলতা। যথাযথ সংরক্ষিত রাখতে হবে দিয়েগো মারাদোনার মরদেহ, এবার এমনই নির্দেশ দিল আর্জেন্টিনার একটি আদালত। গত মাসেই আপামর বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়ে ৬০ বছর বয়সেই বিদায় নেন এই আর্জেন্টাইন ম্যাজিশিয়ান। তারপর থেকেই তাঁর সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। এরই মধ্যে এক যুবতী মারাদোনাকে নিজের বাবা বলে দাবি করে বসেন। ফলে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আর্জেন্টিনার আদালত জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক প্রমাণের জন্য প্রয়াত মারাদোনার DNA নমুনা জমা দিতে হবে। আর সেই কারণেই তাঁর মরদেহ সংরক্ষিত রাখার নির্দেশিকা দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, তাঁর এক স্ত্রীয়ের ( ক্লদিয়া ভিলাফেন ) থেকে দুই কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন মারাদোনা। কিন্তু ক্লদিয়ার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর জানা যায়, আরও ছ’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে মারাদোনার। এরপর তিনি প্রয়াত হবার পর হঠাৎই তাঁকে বাবা বলে দাবি করেন বছর পঁচিশের ইতালীয় তরুণী মগালি গিল। যাঁর বিষয়ে এর আগে শোনা যায়নি কখনও। তাঁর দাবি, বছর দুয়েক আগে তাঁর মা তাঁকে জানান, মারাদোনা তাঁর বাবা হলেও হতে পারেন। মারাদোনা সত্যিই তাঁর বাবা কি না, এরপরই তা জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন গিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেও সে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। ফলত DNA টেস্টের জন্য দেহ সংরক্ষণের নির্দেশ এসেছে কোর্টের।
গত ২৫শে নভেম্বর মারাদোনার প্রয়াণের পর তাঁকে বুয়েন্স আইরেসের একটি সমাধিস্থলে সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু ৩০ নভেম্বর আদালত জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনীয় ফরেনসিক টেস্ট না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সমাধিস্থ করা যাবে না। এবার আদালতের নয়া নির্দেশে নতুন করে তৈরি হল জটিলতা। তাহলে কি এবার কবর থেকে বের করা হবে মৃতদেহ ? ওঠে প্রশ্ন। যদিও সূত্র অনুযায়ী খরব মিলেছে, দিয়েগো আইনজীবী সম্প্রতি জানিয়েছেন যে কিংবদন্তির DNA নমুনা আগে থেকেই সংগৃহীত আছে। কাজেই মাটি খুঁড়ে মরদেহ বের করে আনার প্রয়োজন হবে না, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।