প্রথম তিন ম্যাচে জয়। তারপরই জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। শুক্রবার ফের একবার পয়েন্ট নষ্ট করল এটিকে মোহনবাগান। ১–১ গোলে হায়দ্রাবাদের সঙ্গে ড্র করল সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। হেড কোচের অনুপস্থিতিতেই শক্তিশালী এটিকে মোহনবাগানকে রুখে দিল হায়দ্রাবাদ। ম্যাচের আগে হাবাস জানিয়েছিলেন, রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। আর গোটা ম্যাচে সেই রক্ষণ সামলাতে গিয়েই পয়েন্ট নষ্ট করল রয় কৃষ্ণরা।
ম্যাচে মনবীরই নায়ক, আর মনবীরই ভিলেন। তিনি গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, আবার বিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছেন অহেতুক ট্যাকল করে। সেই কারণে ম্যাচে সমতা ফিরে এসেছে। গত ম্যাচগুলিতেও দেখা গিয়েছিল বিরতির পরে খেলায় ঝাঁঝ বাড়ে এটিকে-মোহনবাগানের। শুক্রবারও তাই দেখা গিয়েছে। সেইসময় কোচ ব্র্যাড ইনম্যানকে তুলে নামান ডেভিড উইলিয়ামসকে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই যে ক’টি গোল করেছিল এটিকে মোহনবাগান, তা সবই ছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তা সেটা কিভুর কেরালা ব্লাস্টার্স হোক। কিংবা ঐতিহ্যের ডার্বি। এমনকী জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচেই গোল এসেছিল পরের অর্ধেই। এদিন অবশ্য হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কিন্তু প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করে হাবাসের ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন রয় কৃষ্ণ–প্রবীররা। কিন্তু হায়দ্রাবাদের গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ানো ‘স্পাইডারম্যান’ সুব্রত পালের দস্তানা এবং খেলোয়াড়দের ভুলে গোলের খাতা খোলেনি সবুজ–মেরুন ব্রিগেডের। প্রবীর–রয় কৃষ্ণ–ইনম্যান প্রত্যেকেই গোল করার মতো জায়গাতেও পৌঁছে যাচ্ছিলেন কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি। অন্যদিকে, হায়দরাবাদও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে তাঁরাও গোল করতে পারেনি। ফলে খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য শুরুতেই ডেভিড উইলিয়ামসকে নামিয়ে দেন হাবাস। ফলে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। আর এরপর গোলও আসে। সৌজন্য সেই মনবীর সিং। যিনি ডার্বিতেও গোল করেছিলেন। একক দক্ষতায় ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিছুক্ষণ পরই পেনাল্টি পায় হায়দ্রাবাদ। গোলদাতা মনবীরই নিজেদের বক্সে নিখিল পূজারিকে ফাউল করে বসেন। আর পেনাল্টি থেকে নিজামের শহরের দলকে এগিয়ে দেন জোয়াও ভিক্টর। এরপর দু’দলই গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করলেও ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি।