বাংলার বুকে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতে নয়া মোড়। নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের তিন আইপিএস আধিকারিককে ডেপুটেশনে চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিন পুলিশ আধিকারিককে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে তলব করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অঘোষিত জরুরি পরিস্থিতি চালানোর চেষ্টা হচ্ছে বাংলায়।’
সূত্রের খবর, ওই তিনজন আইপিএস অফিসার হলেন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি রাজীব মিশ্র এবং প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠী।
প্রসঙ্গত, নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পর মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিল্লীতে তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের দিল্লীতে যেতে বলা হয়৷ সাম্প্রতিক কালে যা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ৷ তবে, আপাতত দিল্লী যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব-ডিজি। শুক্রবার বিকেলে নবান্নের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানানো হয়। যা ঘিরে একুশের মহারণের আগে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে। এরপর যেভাবে এ রাজ্যের ৩ আইপিএসকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে তলব করা হল, তাতে সংঘাত পর্ব নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
এদিকে, মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে তলব সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’ ও ‘সংবিধান বিরোধী’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে সে কথা জানান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে উল্লেখ, ভারতীয় সংবিধান অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাহলে কীভাবে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হল? রাজনৈতিক চাপেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের কাজ করছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের এই আইনজীবী সাংসদ।