কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের জেরে উত্তাল দেশ। কৃষকদের ওপর জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েও দমানো যায়নি প্রতিবাদ বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকালে একটি টুইটে মমতা লেখেন, ‘আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ইদানীং গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর, মৌলিক অধিকার খর্ব করা এবং জনগণের কন্ঠরোধ করার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। নয়া ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে।’ দেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলনের মধ্যে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে এই টুইটে মমতা আসলে কেন্দ্রের মোদী সরকারকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলার মানুষের অধিকার সুরক্ষিত জানিয়ে টুইটে মমতা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের সরকার মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে। গত সাড়ে ৯ বছরে ১৯ টি মানবাধিকার আদালত গঠন করা হয়েছে রাজ্যে। আমি বারবার বিক্ষোভ ও আন্দোলন করার পর ১৯৯৫ সালে বাংলায় হিউম্যান রাইটস কমিশন গঠন করা হয়। সকলকে জানাই শুভেচ্ছা।’
প্রসঙ্গত, মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যেই মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। মানবাধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মানবাধিকার হ’ল মানুষের মৌলিক অধিকার যা থেকে জাতি, বর্ণ, জাতীয়তা, ধর্ম, লিঙ্গ ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষকে বঞ্চিত করা যায় না। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করে।