ক্রীড়ামহলে ফের নেমে এল শোকের ছায়া। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার পর এবার প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি ইটালীয় ফুটবলার পাওলো রোসি। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
ইটালীয় এই সেন্টার ফরোয়ার্ড খেলেছেন এল আর ভিসেঞ্জা, জুভেন্টাস, এসি মিলান ইত্যাদি ক্লাবের হয়ে। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে ইটালিকে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন রোসি। ৬টি গোল করে সে বার গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছিলেন তিনি। পান গোল্ডেন বলের খেতাবও। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ইটালির ৩-২ ব্যবধানে চিরস্মরণীয় জয়ে তিনটি গোলই করেছিলেন রোসি। এর পর পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি জোড়া গোল করেছিলেন। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ইটালির প্রথম গোল রোসিরই। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইটালি। স্বাভাবিকভাবেই সেবছর ফরাসী ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রদত্ত খেতাব ব্যালন ডি’ওরও জিতে নেন তিনি।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ইটালির হয়ে ৪৮টি ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন তিনি। ভিসেঞ্জার হয়ে ক্লাব ফুটবল শুরু। এর পর পেরুজিয়ার হয়ে এক বছর খেলে ১৯৮১ সালে জুভেন্টাসে চলে আসেন। সেখান থেকে তারকা হতে খুব বেশি সময় নেননি পাওলো। জুভেন্টাসের হয়ে ৮৩টি ম্যাচে ২৪ গোল করেন। ১৯৮৫ সালে চলে আসেন এসি মিলানে। সেখানে এক বছর খেলেন। ক্লাব ফুটবলে মোট ৩৩৮ ম্যাচে ১৩৪টি গোল আছে তাঁর। দু’বার সিরি আ জেতেন। ১টি ইউরোপিয়ান কাপও রয়েছে তাঁর কেরিয়ারে।
ইটালিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল ‘রাই স্পোর্ট’ বৃহস্পতিবার ভোরে রোসির মৃত্যুসংবাদ জানায়। সম্প্রতি এই চ্যানেলের হয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ, সোনার বল, সোনার বুট তিনটি খেতাব একই বছরে জেতার অনন্য নজির প্রথম তৈরি করেছিলেন পাওলো। পরে অবশ্য তাঁর পাশে যোগ হয় আরেক কিংবদন্তির নাম। তিনি ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার রোনাল্ডো। তবে রোনাল্ডো একই বছরে তিনটি খেতাব পাননি। সোনার বল পেয়েছিলেন ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে। আর সোনার বুট পান ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে।