বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানী-সহ সারা দেশ উত্তাল। মঙ্গলবার দেশজোড়া বন্ধের জের আছড়ে পড়ল কলকাতা-সহ রাজ্যের জেলায় জেলায়।
বনধের সমর্থনে এদিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। এদিন যাদবপুরে লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে লাল-পতাকা নিয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। অন্যদিকে লেকটাউন, মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে. চৌমাথা মোড়ে, যশোর রোডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা।
গঙ্গারামপুরে রেল অবরোধ চলে বেশ কিছুক্ষণ। যশোর রোড আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বামেরা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে কুশপুতুল দাহ করা হয় নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের। এ দিন সকাল ১১টায় এন্টালিতে বামেদের ১৬টা সংগঠন মিছিল শুরু করে। মিছিল হয় বউবাজার ও শ্যামবাজারে।
শুধু কলকাতাতেই নয়, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তা ও রেল অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। রিষড়া, ডোমজুড়, বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, জয়নগর, পাঁশকুড়া, বালি,বাঁকুড়া, আসানসোল, কোচবিহারেও সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বাম সমর্থকরা।
কোচবিহার শহরের হরিশপাল চৌপথি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ভারত বনধের সমর্থনে সকলা থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছে বাম মিছিল। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বনধ সমর্থনকারীরা। বাস ভাঙচুর করা হয়। মাথাভাঙা শহরের পচাগড় মোড়ে রাস্তায় টায়ারও জ্বালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে বর্দমান ও কাটোয়া শহরে। সকালে কাটো থেকে হাওড়া ও বর্ধমানগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কাটোয়া থেকে বর্ধমান, সিউড়ি, মুর্শিদাবাদ-কালনাগামী সমস্ত বাস ও গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই কাটোয়া শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাম সমর্থকরা। মালদার চাঁচোলে রাস্তা অবরোধ করে বাম কর্মী-সমর্থকরা। নদীয়ার করিমপুরের রাস্তায় নেমে বন্ধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে মিছিল করেন বামকর্মীরা। সরকারি বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সকলা থেকে সরকারি অফিসগুলোর সামনে বন্ধপালনের জন্য বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। মোট কথা, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনের ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে বাংলায়।