টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্বিঘ্নে আয়োজন করা গেলেও প্রোটিয়া-ইংল্যান্ড ওডিআই সিরিজ বিঘ্নহীন ভাবে শুরু করা যায়নি। কেননা, দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরের একজন আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। কাজেই নির্ধারিত শুক্রবারে শুরু করা যায়নি সিরিজ। তা স্থগিত হয়ে রবিবারে পুনর্নিধারণ করা হয়। রবিবার ইংরেজ শিবির জানায়, তাদেরও একজন আক্রান্ত।
তারপর শেষমেশ বাতিলই হয়ে গেল তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড, দুই শিবিরেই কোভিড পজিটিভ সদস্য থাকার কথা জানা গিয়েছিল করোনা টেস্টের পর। এমনকী, যে হোটেলে দুই দল রয়েছে, সেই হোটেলের দুই স্টাফও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত চারদিনে তিনবার সিরিজ পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। এদিন দুই দেশের বোর্ড যৌথ ভাবে একদিনের সিরিজ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার কার্যকরী সিইও কুগানড্রিয়ে গোভেনডার জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ যে মানসিক চাপ তৈরি করছে তা আমরা, দুই দেশের বোর্ড, একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছি না। এই পরিস্থিতিতে সফর স্থগিত রাখাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজ। ইসিবিকে ধন্যবাদ সব সময় ইতিবাচক সম্পর্ক রাখার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি আমরা ইংল্যান্ড দলকে খেলানোর দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পরও কী ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দুই দল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই। কেউ যে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙেননি, তা অবশ্য জোর দিয়ে বলা হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রোটিয়াদের ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন মর্গ্যানরা। বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ওয়ান ডে সিরিজ নিয়ে।
কিন্তু কোভিড ইস্যুতে বাতিলই হয়ে গেল তা। করোনা আবহে ক্রিকেট শুরু হওয়ার পরে এমন ধাক্কায় একটু হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা।