নিজেরা করবে বলেও প্রায় দু’বছর চুপচাপ ছিল কেন্দ্র। শেষমেশ তাজপুর গভীর সমুদ্র-বন্দর রাজ্য সরকার নিজেই তৈরি করবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মেদিনীপুরের সভা থেকে সেই নিয়ে যুগান্তকারী ঘোষণা করলেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা জানিয়েছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেরিটাইম বোর্ড ও ডব্লিউ বি আই ডি সি-র অধীনে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাজে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে সোমবারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘তাজপুরে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণকাজে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মেদিনীপুর এবং বাংলার মানুষদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রায় ২৫ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।’
এই বন্দর হলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যবসার বিপুল প্রসার ঘটবে বলে ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘খড়গপুর সংলগ্ন এলাকার লোহা ও ইস্পাত কারখানার রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়ার লোহা ও ইস্পাত রপ্তানি বাড়বে।’ শুধু দেশে নয় বিদেশেও ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে মমতা বলেন, ‘মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও জাপানে সি ফুড রপ্তানি হয়, এই বন্দর হলে সি ফুড রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে, লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবি উপকৃত হবেন, অনেক কর্মসংস্থান হবে এবং সি ফুডের নতুন পরিকাঠামো হবে।’
এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। দ্রব্যমূল্য নিয়ে একের পর এক কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যের হাত থেকে আলু, পিঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই ধান ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘কৃষকদের পাশে আছি, ছিলাম, থাকব। আগামিকালের কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করি।’ কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়েও বিরোধী বিজেপি শিবিরকে জোরাল ভাষায় বিঁধলেন তিনি। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে ক্ষমতা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী।