আইএসএলের প্রথম ডার্বিতেই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে তাঁরা। আর ঠিক তার পরের দিনই সিএবি আয়োজিত বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জ লিগে ক্রিকেটের ডার্বিতেও জয়লাভ করেছিল মোহনবাগান। এবার ক্রিকেটের ফিরতি লিগে ফের একবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের কাছে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। এর আগে প্রথম সাক্ষাতেও হারতে হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। সেই ম্যাচ ১ রানে জিতলেও গতকালের ম্যাচে কার্যত বিপক্ষকে উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। ম্যাচ জিতল ৩৬ রানে। সৌজন্যে অনুরাগ তিওয়ারির দুরন্ত বোলিং। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অনুরাগ। ১২ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন সায়ন ঘোষ। ফলে মোহনবাগানের ১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১১৬ রানেই অলআউট হয়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
রবিবারের ম্যাচে প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। সবুজ-মেরুনের হয়ে শুরুটা ভাল করেন অঙ্কুর পাল এবং বিবেক সিং। তবে অঙ্কুর ১৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও বিবেক দুরন্ত অর্ধশতরান করেন। ৩৫ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ৪টি চার ও ৪টি ছয়। এছাড়া অনুষ্টুপ মজুমদার করেন ২৮ বলে ৪৪ রান। এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মোহনবাগানের রান দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫২। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সুজিত কুমার যাদব ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। এছাড়া আকাশ পাণ্ডে নেন দু’টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী এবং অভিমণ্যু ঈশ্বরণ। শ্রীবৎস ১৮ রান করে আউট হলেও অন্যদিকে দুরন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন ঈশ্বরণ। তিন নম্বরে নামা অভিষেক রমন কিছুক্ষণ তাঁকে সঙ্গত দেন। কিন্তু তিনি ১৪ রানে আউট হতেই একেবারে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ইস্টবেঙ্গলের ব্যাটিং লাইন আপ। রমন যখন আউট হন তখন লাল-হলুদের রান ছিল ৭.৫ ওভারে দু’উইকেটে ৬৭ রান। এরপর বাকি দশ ওভারে মাত্র ৪৯ রানে পড়ে যায় বাকি আট উইকেট। ঈশ্বরণ ৪৪ বলে ৫১ রান করলেও তা দলের হার বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফুটবল ও ক্রিকেট মিলিয়ে পরপর তিনটি ডার্বি জিতে স্বভাবতই খুশি মোহনবাগান সমর্থকরা।