এবার ফের বিতর্কে জড়াল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। এর আগে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স এবং পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল সিএসআর ফান্ড থেকে। কিন্তু কর্মীদের বেতন থেকে আরও ১৫৫ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দিয়েছে ১০০টিরও বেশি পিএসইউ। আরটিআই-এর তথ্য থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওএনজিসি, যারা তাঁদের কর্মীদের বেতন থেকে প্রায় ২৯.০৬ কোটি টাকা দিয়েছে। ১০১টি পিএসইউ-এর মধ্যে ওনজিসি বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়ার তালিকায় শীর্ষে। সিএরআর ফান্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে বিএসএনএল। তাদের তরফে প্রায় ১১.৪৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আরটিআই তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে ২৪টি পিএসইউ তাদের কর্মীদের বেতন থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা কিংবা তার বেশি টাকা সরকারের ফান্ডে জমা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে মোদী সরকারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স ফান্ড-এ ৩১ মার্চ অবধি ৩ হাজার ৭৬ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে ওয়েবসাইটের অডিট রিপোর্ট। প্রথম পাঁচদিনেই এই টাকার অঙ্ক পেয়েছে পিএম কেয়ার্স ফান্ড। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৫৮ হাজার ৯৬ টাকা এই ফান্ডে জমা পড়েছে। এই অ্যাকাউন্ট প্রাইম মিনিস্টারের সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স এন্ড রিলিফ ইন ইমারজেন্সি সিচুয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। তবে মার্চ মাসের পরে এই অ্যাকাউন্টে কত টাকা এসেছে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করছেন, সেই দাতাদের নাম কেন প্রকাশ্যে আনছে না কেন্দ্র? অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের উপরে অর্থ দান করলেই দাতাদের নাম প্রকাশ্যে আনা বাধ্যতামূলক, সেখানে সরকারের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হবে না কেন?