নতুন ধান হাতে মেদিনীপুরের সভা থেকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কৃষকদের পাশে ছিলাম আছি থাকব। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি।’ কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থনে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর তৃণমূলের কর্মসূচির কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। মমতার অভিযোগ, নতুন আইনের মাধ্যমে কেন্দ্র সব কিছু কেড়ে নিয়েছে।
এদিনের সভায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ব্ল্যাকমেলিং করে, বার্গেনিং করে, ভোটের সময় তৃণমূলকে বিপদে ফেলব ভাবছেন যে বিজেপি দল ও তার বন্ধুরা, তাদের বলব আগুন নিয়ে খেলবেন না।’ মমতার কথায়, ‘ওরা বলছে হয় জেলে যাও অথবা ঘরে চুপ করে বসে থাক। ভয় পাচ্ছেন কেন? ঢোকাক আমাকে জেলে। জেলে বসেই স্বাধীনতার লড়াই করব। কিন্তু তাও বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না।’
এদিন নতুন ধান হাতে নিয়ে মমতা বলেন, ‘লক্ষ্মীর ধানই বিজেপিকে বিদায় করবে। কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’ তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে, বাংলায় বহিরাগত আমদানির অভিযোগ করেন। বলেন, ‘বহিরাগতরা লুঠের টাকা বিলিয়ে যাচ্ছে। আপনারা সেই টাকা নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না।’ তারপরই মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় এগুলো বললে ইলেকশান কোডের ধুয়ো তুলবে। তাই আগেই বলে দিলাম।’ দেশের সমস্ত লুটেরাদের বিজেপি রক্ষা করছে বলেও অভিযোগ মমতার। তিনি বলেন, ‘আমার সরকারকে যতই দুর্বল করার চেষ্টা করুক বিজেপি, ২০২১ সালে বাংলার জয় হবে। কারণ জনগণ এই সরকারের সঙ্গে আছে।’ মমতার কথায়, ‘গান্ধীজির হত্যাকারীদের কাছে বাংলা কখনওই মাথানত করবে না।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের পাশে থাকতে, ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর তৃণমূলের কর্মসূচির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আট ডিসেম্বর থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল অবস্থান শুরু হচ্ছে। তিনিও সেই আন্দোলনে যোগ দেবেন।