‘আমেরিকা, রাশিয়া যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাতেই কাজ পাবেন সকলে। দেউচা পাচামি হচ্ছে, ডিপ সি পোর্ট হচ্ছে। প্রচুর ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থান হবে।’ সোমবার মেদিনীপুরের সভা থেকে এভাবেই বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বীরভূমের দেউচা পাচামি কয়লাখনির কাজে দীর্ঘদিন টালবাহানার পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে। ৩৫০০ একর এলাকা জুড়ে ৩৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরাতে হবে। জুলাই মাসে এই প্রকল্পে জট কাটার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তৎকালীন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, পুজোর পরেই প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে। মূল কাজ শুরু হতে একবছর সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘আমার ছাত্রযৌবন বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। আমি চাই, আমার ছাত্র যুবরা ফিরে আসুক বাংলায়। আমেরিকা রাশিয়া যাওয়ার দরকার নেই। দেউচাপাচামি আসছে, ডিপ সি পোর্ট হচ্ছে, অনেক ইন্ড্রাস্ট্রি আসছে। উইপ্রো, ইনফোসিস আসছে। কাজের কোনও অসুবিধা হবে না আপনাদের।’
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়েও যুগান্তকারী ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘তাজপুরে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণকাজে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মেদিনীপুর এবং বাংলার মানুষদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রায় ২৫ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।’
এই বন্দর হলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যবসার বিপুল প্রসার ঘটবে বলে ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘খড়গপুর সংলগ্ন এলাকার লোহা ও ইস্পাত কারখানার রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়ার লোহা ও ইস্পাত রপ্তানি বাড়বে।’ শুধু দেশে নয় বিদেশেও ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে মমতা বলেন, ‘মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও জাপানে সি ফুড রপ্তানি হয়, এই বন্দর হলে সি ফুড রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে, লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবি উপকৃত হবেন, অনেক কর্মসংস্থান হবে এবং সি ফুডের নতুন পরিকাঠামো হবে।’