তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লী সীমানা লাগোয়া এলাকায় আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। দু’বার সরকার পক্ষের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে কোনও রফা মেলেনি। আর তার জেরেই আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ ডেকেছেন কৃষক সংগঠনগুলি। তবে আগামীকাল বনধ হলেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে জরুরি পরিষেবা এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে। কিন্তু দুধ, সবজির মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন স্বরাজ ইন্ডিয়া পার্টির সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব।
ইতিমধ্যে কৃষক সংগঠনদের সেই বনধে সমর্থন জানিয়েছে ডিএমকে, তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআই(এম), ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল। বনধে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এছাড়াও বিজেপির জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টিও (আরএলপি) বনধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতা বলদেব সিং যাদব বলেন, ‘শুধু পঞ্জাবের কৃষকদের নয়, এই বিক্ষোভ সারা দেশের। আমরা আমাদের প্রতিবাদ আরও জোরালো করব। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু সরকার আমাদের উপযুক্তভাবে সামলাতে পারেনি, তাই আমরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছি। গতকালের (শনিবার) বৈঠকে মন্ত্রীরাও ভারত বনধে হতাশা প্রকাশ করেছেন।’
শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালনের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কৃষক নেতার কথায়, ‘কেউ যেন বনধকে হিংসায় পরিণত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করব আমরা। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। আমরা সবাইকে বনধে যোগদানের আর্জি জানাচ্ছি।’ তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বনধ শুরু হবে। তা চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।