ডার্বিতে প্রথম একাদশে জেজেকে না রাখার খেসারত দিতে হয়েছিল রবি ফাউলারকে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই খারাপ ফর্ম থাকা বলবন্ত না নামিয়ে জেজেকে দিয়েই শুরু করবেন লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু তেমনটা হল কই! ৬৫ মিনিটে ভারতীয় স্ট্রাইকার যখন মাঠে নামছেন তখন তিন-তিনটে গোল হজম করে বসে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তখন সত্যিই আর কিছু করার থাকে না। তাই যা হওয়ার তাই হল। আইএসএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় অধরা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। উলটোদিকে সুন্দর ফুটবল খেলেও কীভাবে তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া যায়, দেখিয়ে দিল সের্জিও লোবেরার দল।
ডার্বি ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকেই বেশি নড়বড়ে মনে হয়েছিল। রানা ঘরামির বদলে নারায়ণ দাসকে আনেন ফাউলার। কিন্তু এদিন শুধু ডিফেন্স নয়, ফরোয়ার্ড লাইনে ফিনিশিংয়ের অভাবও দারুণভাবে চোখে পড়ল। হতাশ করল দেবজিতের পারফরম্যান্সও। তবে দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের হ্যান্ড বলের আবেদন কেন নাকচ হয়ে গেল, সে নিয়েই আপাতত জোর আলোচনা ফুটবল মহলে।
প্রথম ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হারলেও গোয়ার বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই। স্বাভাবিকভাবেই তাই আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল গোটা দল। আর বুধবার দলকে নিজের জন্মদিনের আগাম রিটার্ন গিফ্ট দিয়ে রাখলেন লে ফন্দ্রে। কী অনবদ্য পারফরম্যান্স। বৌমউসের দুরন্ত পাস থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করে ব্যবধান বাড়ান ইংলিশ তারকা ফন্দ্রে। ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার চাবিকাঠি যে লোবেরার পাসিং ফুটবলেই লুকিয়ে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে প্রথমার্ধে নিজেদের মধ্যে লাগাতার পাস খেলে বিপক্ষকে বিরক্ত করে তোলে মুম্বই। যদিও তার মধ্যেও রফিক একবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে সফল হননি। আর বলবন্তের মতো অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার যদি দেশের সেরা লিগে খেলতে নেমে, সাজানো বল জালে না জড়াতে পারেন, তাহলে জয়ের আশা না করাই শ্রেয়।