অমিত শাহের ‘শর্ত’ খারিজ করে দিলেন কৃষকরা। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকারই বার্তা দিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, ‘বুরারির মাঠে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ওটা মাঠ নয়, খোলা জেলখানা!’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব খারিজ করে কৃষক আন্দোলনের নেতার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, দিল্লীতে ঢোকার পাঁচটি সীমান্তই অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে।
দিল্লীর সিংঘু সীমানায় সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির রাজ্য সভাপতি সুরজিৎ সিং বলেন, ‘খবর পেয়েছি, উত্তরাখণ্ডের কৃষকরাও দিল্লী পৌঁছেচেন। তাঁদেরকে যন্তরমন্তরের রাস্তা দেখানোর বদলে বুরারির মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুরারির মাঠে আমরা যাব না। ওটা খোলা জেলখানা।’ তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই তাঁরা এই আন্দোলনে স্বাগত জানাবেন না।
সুর নরম করে শুক্রবার অমিত শাহ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীরা যদি বুরারির মাঠে গিয়ে জমায়েত করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। এদিন বিক্ষোভকারীরা বলেন, শর্ত নিয়ে আলোচনায় বসবেন না তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠক তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কেন্দ্রের কৃষক-বিরোধী এবং ‘প্রো–কর্পোরেট’ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যুৎ–অধ্যাদেশ এবং নাড়া পোড়ানোর জন্য জরিমান বাতিল করতে হবে। কৃষকদের দাবি, চাষের কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় সরকারের তরফে, তা কেড়ে নিতেই বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল আনা হয়েছে।