কাঁচা পাটের মাত্রাছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে চটশিল্পের। এই পরিস্থিতিতে দর কোনও ভাবেই কুইন্টালে ৬০০০ টাকার বেশি উঠতে পারবে না বলে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্যে চটশিল্পের জন্য গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীর জরুরি বৈঠকে। তবে জোগান ঠিক রাখতে ৫০০ কুইন্টালের বেশি কাঁচা পাট মজুত করা যাবে না বলে জুট কমিশনারের অফিস যে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত তা-ই বহাল থাকছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, পাট অত্যাবশ্যক পণ্য বলে এই শিল্পে স্বাভাবিক কেনাবেচা শুরু করতে হবে।
বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী, আইজেএমএ এবং পাট ব্যবসায়ীদের সংগঠন জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএ) সদস্যেরা। সেখানে জেবিএ-র দাবি, চটকলগুলিতে কাঁচা পাটের অভাব নেই। উৎপাদনও বন্ধ হয়নি। বরং মজুত বাঁধার নির্দেশে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
মাসের শুরুতে রাজ্যে কাঁচা পাটের দাম ছাড়িয়েছিল কুইন্টালে ৬০০০ টাকা। দাম নিয়ন্ত্রণ ও জোগান বাড়াতে তা মজুতের পরিমাণ ৫০০ কুইন্টালে বেঁধে দেওয়া হয়। পাট উৎপাদক জেলাগুলিতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযানও। চটকল মালিকদের একাংশের অভিযোগ, বেআইনি মজুতের কারণে কাঁচা পাটের দাম বাড়ায় বস্তার উৎপাদন মার খাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকতে রাজ্যকে আর্জি জানায় তাঁদের সংগঠন আইজেএমএ। চলতি সপ্তাহে প্রথমে খাদ্য দফতর আইজেএমএ-কে আলোচনায় ডাকে। তার পরেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকা হয়।