প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বেনজির তাণ্ডবে যখন গোটা বিশ্ব নাজেহাল ঠিক তখনই মিলল সুখবর। মারণ ভাইরাসের সঞ্জীবনী অর্থাৎ ভ্যাকসিনের সরবরাহ শুরু করে দিয়েছে মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার। শুক্রবারই বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাসের প্রথম চালান নিয়ে শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দর থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমান।
করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে ফাইজারের অন্যতম অংশীদার জার্মান জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়োএনটেক। তাই উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষিত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্লেস্যান্ট প্রেইরি ও জার্মানির কার্লশ্রুর গুদামের সংরক্ষণ ক্ষমতাও বাড়িয়েছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। যেহেতু সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষিত রাখতে হবে, তার জন্য কার্গো বিমানের মধ্যে বিশেষ আইস বক্স ব্যবহার করছে ফাইজার। প্রথম চালান ব্রাসেলসে পৌঁছনোর পরে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে, সরবরাহের ক্ষেত্রে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে কিনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাইজারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শিকাগো থেকে ব্রাসেলসে যেভাবে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে, সেইভাবেই গোটা বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
মার্কিন সাময়িকী ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সংস্থার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পরেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ফাইজারের শীর্ষ আধিকারিকরা। এফডিএ’র পক্ষ থেকে ফাইজারকে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর সেই অনুমতির পরেই সময় নষ্ট না করে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি। ভ্যাকসিনের প্রথম চালান বেলজিয়ামে পাঠানো হয়েছে।