আজ দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকেও। তারপরইপরই কালীঘাটের বাসভবনে এক তৃণমূলের শীর্ষনেতাদের বৈঠক ডাকলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে যোগ দিতে তৃণমূলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সির মতো নেতা। আসতে পারেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে শুভেন্দুর ইস্তফার পর দলের পদক্ষেপ নিয়ে। শুভেন্দুকে দলে রাখার কোনও রাস্তা খোলা রয়েছে কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
তবে শুভেন্দুর ছেড়ে দেওয়া দফতরগুলি কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেল আজকের বৈঠকে। পরিবহন, জলসম্পদ ও সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। গুরুত্বপূর্ণ এই দফতরগুলি বেশিদিন মন্ত্রীহীন রাখা সম্ভব নয় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে। ফলে সেখানে নতুন কাউকে নিয়োগ করতে পারেন তিনি। তাই এই তিন দফতরের দায়িত্ব নিজেই নিলেন মমতা।
প্রথমে জল্পনা হচ্ছিল যে, পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম বা অরূপ বিশ্বাস। সেচ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এই গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সম্ভাবনা পালটে যায়। ফিরহাদের কাঁধে আপাতত পুর, নগরোয়ন্নয়ন দফতরের ভার। অরূপ বিশ্বাসের হাতে দুটি দফতরের ভার– ক্রীড়া, যুবকল্যাণ। এই সবকটি দফতরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই র দফতরগুলি আপাতত নিজের দায়িত্বেই রাখলেন মমতা।