ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাচনের আগেই চেয়েছিল ভ্যাকসিন এনে আমেরিকাবাসীর মন জয় করতে। সেই সময় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্নাকে বলাও হয় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন আনতে। কিন্তু এবার সেই সংস্থাকেই বলা হল চূড়ান্ত পর্যায় ধীর গতিতে করতে। নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের। সেই কারণেই কি এই ‘পলিটিক্স’?
এই মুহুর্তে ভ্যাকসিন তৈরিতে রয়েছে চরম কর্পোরেট প্রতিযোগিতা। ঝুঁকি ও জটিল পরিস্থিতিতে লড়াই চলছে সমানে। বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে রয়েছে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। যদিও ফাইজার প্রধান ডা: অ্যালবার্ট বরুলা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বিষটি স্বীকার করেননি। ট্রাম্প প্রশাসনকে আশা দিয়েছিলেন তিনিও। তবে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার তথ্য প্রকাশ করেন নির্বাচনের পরে। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং।
মডার্নার প্রধান তথা ফরাসী বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার স্টিফান ব্যানসেল এই তথ্যকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অতিমারী আবহে এই টক্কর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিটা দিন এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ”। একসময় ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে ছিল মডার্না। এখন সেই স্থান দখল করেছে ফাইজার। যারা তাঁদের ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার তথ্যও প্রকাশ করেছে। স্টিফান এও বলেন, “এই বছর যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি সেটা সবচেয়ে কঠিন ছিল।”