বিধানসভা ভোটের আগে বিভিন্ন বিষয়ে দলের বক্তব্য জানানোর জন্য প্রতিদিন দলের সুবক্তাদের দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করাচ্ছে তৃণমূল। রবিবার যেমন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই বৈঠক থেকেই বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্দেশ্যে তোপ দেগে কুণাল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, একটি শব্দ কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও কিছু কিছু নেতা ব্যবহার করছেন, সেই শব্দটা হল ‘ভাইপো’। ওনাকে খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, যদি সাহস থাকে, তাহলে নাম এড়িয়ে ভাববাচ্যে কথা না বলে নাম উচ্চারণ করুন। যদি হিম্মত থাকে আপনি নাম উচ্চারণ করে বলুন আপনি কাকে ইঙ্গিত করে এই কথাগুলো বলছেন। হাওয়ায় কথা ছেড়ে, মিথ্যা কুৎসা ছড়িয়ে, গুজব ছড়িয়ে সস্তা হাততালি পাবার চেষ্টা করবেন না। হয় নাম বলুন আর নয় এই মিথ্যা ছড়ানোটা বন্ধ করুন।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে বারবারই গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ টেনে এনেছেন অমিত শাহের পুত্র জয় শাহয়ের বিষয়ও। তিনি বলেন, ‘যে সাংসদ ও যুবনেতাকে আক্রমণ করছেন, ধরে নিতে হয়, বিজেপি তাকে ভয় পাচ্ছে বলেই তো আক্রমণ করছে। এই ক্ষেত্রে উনি কোন ভাইপো-র কথা বলছেন? বিসিসিআই-র যিনি সেক্রেটারি হয়ে বসে আছেন, উনিও তো সম্পর্কে কৈলাসজির ভাইপো। ভাইপো, ভাগ্নী তো নানাভাবে হতে পারে, আপনি কী বলছেন? আপনার যদি সৎসাহস থাকে, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম বলে দেখান। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কাপুরষতা না করে আপনি নাম বলুন। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, মানুষের সামনে নাম করে বলুন।’
তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপি যে প্রশ্ন তুলছে, গতকাল তার পালটা হিসাবে কুণাল বিজেপিকে বিঁধেছেন তাঁদের নেতাদের পরিবারতন্ত্রের কথা বলেই। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদের পরিবারে কি আর কেউ রাজনীতিবিদ হয় না। বিজেপি-র এরকম কী ইতিহাস নেই? তাদের ইতিহাস দেখলে তো আপনারা চমকে যাবেন। ১৬-সালে আপনি তো বলেছিলেম ‘ভাগ মুকুল ভাগ’, সেদিন তো বলেননি ‘ভাগ ভাতিজা ভাগ’। তাহলে এখন কিসের গায়ের জ্বালা, ভয় লাগছে? তাকেই কেন দলে নিয়েছেন। কৈলাসজি, আকাশ বিজয়বর্গীয়কে চেনেন? আমরা কোনও ব্যক্তিগত কুৎসা চাইনা, কারণ আমাদের বলার মত উন্নয়নের কাজ অনেক আছে। আকাশ বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশের এমএলএ, সেখানকার পুরসভার কর্মীদের ব্যাট দিয়ে মেরেছেন এবং অ্যারেস্ট হয়েছেন আর আপনি শেখাতে আসছেন আত্মীয় পরিজনের কথা? আপনার বিজেপি-কি ওয়াশিং মেশিন নাকি যে পাশে বসলেই সব কি ধুয়ে যাচ্ছে?’