শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, আর প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই গোটা ভারতে দৃষ্টান্ত। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় বাঙালি নেতাদের উপরে ভরসা নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই বাইরে থেকে নেতা আনতে হচ্ছে।’
বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে ৫ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা সকলেই ভিন রাজ্যের। একুশের ভোট যুদ্ধের আগে প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন অমিত মিত্র। নবান্ন অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছেন কর্ণাটকের তেজস্বী সূর্য। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দিল্লীর নেতাদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে এ দিন কাকলি বলেন, ‘যে কয়েকজন বাঙালি নেতা বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা আছেন, তাঁদের উপরে মনে হচ্ছে না ভরসা আছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সে জন্য নেতা আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে নেতারা আসছেন। বাঙালির উপরে আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। বাঙালির মাথার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।’
‘বহিরাগত’ ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধে কাকলি ঘোষ দস্তিদার আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাঙালিরা। শিক্ষাক্ষেত্রে নোবেল প্রাপক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতার নাম আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনের নাম বললে আসবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিরুদ্ধে লড়ার কে আছে? কেউ নেই ওদের। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। বাইরে থেকে নেতা আনছে। এখানে যাঁরা আসছেন, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। বাংলার মা-বোনেদের সম্মান করতে জানে না।’
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ‘১৯৩৯ সালে হারলেন সুভাষচন্দ্র বোস। নানাভাবে তাঁকে কোণঠাসা করা হল। ভারতের রাজনীতি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল সুভাষকে। তার হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটল ৫০ বছর পরে। সুভাষ বোস আলাদা দল গঠন করেছিলেন। মমতাকে সুভাষের মতো লড়াই করতে হয়েছে। আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করতে হয়েছে, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পশ্চিম ও উত্তর ভারত থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে।’