হাঁপানির সমস্যা। বুকে সংক্রমণ। যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে দিল্লীর দূষণ। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের দিল্লী ছেড়ে অপেক্ষাকৃত গরম কোনও জায়গায় ঘুরে আসার পরামর্শ মেনে শুক্রবারই রাহুল গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে গোয়া চলে গিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু গোয়া রওনা হওয়ার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী তিনটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন, যা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।
অর্থনীতি, বিদেশনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখে তাঁকে ওয়াকিবহাল রাখার জন্য সোনিয়া কমিটি তিনটি গঠন করেছেন। সব কমিটিতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ রয়েছেন। গত অাগস্টে কংগ্রেসের ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা দলের হাল নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, বীরাপ্পা মইলিরাও রয়েছেন এই সব কমিটিতে। সম্প্রতি কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে মুখ খোলা পি চিদম্বরমও রয়েছেন আর্থিক বিষয়ক কমিটিতে।
তারপরেও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রশ্ন, একদিকে বলা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। কিন্তু কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে নির্বাচন হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারই মধ্যে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া একের পর এক কমিটি গঠন করছেন। বিক্ষুব্ধ নেতাদের মূল দাবি ছিল, পুরো সময়ের সক্রিয় নেতৃত্ব এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে নির্বাচন। এখন যে ওয়ার্কিং কমিটি রয়েছে, তাতে সকলেই সোনিয়া মনোনীত। বিক্ষুব্ধ নেতাদের যুক্তি ছিল, ওয়ার্কিং কমিটি যদি মনোনীত হয়, তা হলে তারা হাইকমান্ডের মন জুগিয়েই চলবে। সে কারণেই ওয়ার্কিং কমিটি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে।
এর পরে ঠিক হয়, ছয় মাসের মধ্যে সভাপতি নির্বাচন হবে। তার জন্য নির্বাচন কমিটিও তৈরি হয়। জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলতে এআইসিসি-র প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধির জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই হাজার দেড়েক প্রতিনিধিই সভাপতি পদে নির্বাচনে ভোট দেবেন। কিন্তু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচন হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, রাহুল গান্ধী বেঁকে না বসলে তিনিই যে সভাপতি হবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটি নির্বাচনের বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা মিলছে না।