ঘটনা ২০১৬ সাল। উড়িষ্যা থেকে ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে কলকাতায় এনে, সোনাগাছির বেশ্যাপল্লিতে বেচে দিয়েছিল নারীপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত একটি দল। জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয় তাকে। কিন্তু আর পাঁচ জন পাচার হয়ে যাওয়া মেয়ের থেকে ওই কিশোরীর ভাগ্য বোধহয় একটু ভাল ছিল। তাই ওই বছরই মে মাসে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিটের সক্রিয়তায় উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। অবশেষে ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল তাকে।
এই মামলায় সক্রিয় ভূমিকা ছিল ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন (আইজেএম), কলকাতা শাখার। তারা তদন্তকারীদের এবং আইনজীবীদের সর্বতো ভাবে সাহায্য করেছিল এই মামলায় কিশোরীর সর্বোত্তম বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করতে। তদন্তকারীরা দ্রুত সমস্ত রিপোর্ট তৈরি করে নিম্ন আদালতের শুনানির সময়ে জমা দেন। এর পরে পকসো আদালতে মামলা ওঠে। তবে সে সময়ে আদালতে কোনও বিচারপতি নিযুক্ত না থাকায় বেশ কিছুদিন স্থগিত থাকে মামলার গতি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। দ্রুত ফাইল করা হয় চার্জশিট। সেই মামলায় আজ সাড়ে চার বছর পরে ক্ষতিপূরণ পেল পাচারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সেই কিশোরী। ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির তরফে ৯ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে তার হাতে। জানা গেছে, এ রাজ্যে আগে কেউ এত মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পায়নি মানবপাচার মামলায়।