হাথরস কাণ্ড নিয়ে দেশজোড়া সমালোচনার পরেও প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। এবার লজ্জা আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে। সেখানে বিদিশা জেলায় সত্তর বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াও ডাক্তারের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত খুনের আগে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ-খুনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদিশার ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য তৈরি হলে বিশাল পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করতে হয়। যদিও দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও বর্বরোচিত এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনাস্থল বিদিশার এই গ্রামটি ভোপাল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পূর্বে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। বিদিশার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সাধু জানান, বৃদ্ধার গোপনাঙ্গের চারপাশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উনি যাতে চিত্কার করতে না পারেন, অপরাধীরা মুখের মধ্যে কাদামাটি ঠেসে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, চাষের জমির পাশেই একটি কুঁড়েঘরে একাই থাকতেন বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা। রাতে তিনি যখন ঘুমোচ্ছিলেন, সে সময় অপরাধীরা বৃদ্ধার বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করে। রাতের নিরিবিলিতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মৃতদেহ ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
বৃদ্ধার ছেলে পুলিশকে জানান, চাষের ফসল যাতে চুরি না হয়, তার জন্যই আমাদের জমি লাগায়ো কুঁড়েঘরে মা রাতে গিয়ে থাকতেন। সকালে বাড়িতে ফিরতেন। অন্য দিনের মতো বুধবার রাতেও শুতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে না ফেরায়, আমি জমিতে যাই। কুঁড়েঘরে মাকে দেখতে না পেয়ে, আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। জমি থেকে কিছুটা দূরে মায়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। পুলিশের ধারণা, অপরাধীরা ওই বৃদ্ধার পরিচিত ছিলেন। চিনে ফেলার কারণেই খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে একাধিক জন জড়িত রয়েছে বলেই পুলিশ মনে করছে। তবে, ধর্ষণ-খুনই উদ্দেশ্য ছিল নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, পুলিশ তা-ও খতিয়ে দেখছে।