অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে দু’ একদিন তা বেড়ে ৫০ হাজার পেরোলেও বেশিরভাগ দিনই গ্রাফ নামতে থাকে। তবে এবার ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে ছন্দপতন। দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফে একদিনে জোড়া উদ্বেগের খবর। দেড় মাসেরও বেশি সময় পর দেশের দৈনিক করোনাজয়ীর সংখ্যাটা নতুন আক্রান্তের চেয়ে কমে গেল। কিছুটা হলেও বাড়ল অ্যাকটিভ কেস। শুধু তাই নয়, দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৯০ লক্ষের গণ্ডি।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ হাজার ৮৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ লক্ষ ৪ হাজার ৩৬৬ জন। অন্যদিকে, এদিন দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৪ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি। ফলে দেশে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৬২ জন।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লী, এই ছয় রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৬৩,০৫৫ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬,৩৫৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৬,৩৫,৯৭১ জন। অ্যাকটিভ কেস ৮০,৭২৮। কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬৭,৭৮০। মৃত ১১,৬০৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮,৩০,৯৮৮ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৫,১৮৮। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৫৮,৭১১। মৃত্যু হয়েছে ৬৯১০ জনের। সুস্থ ৮,৩৫,৮০১ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৬,০০০।
এরপর তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৪,৯৮৯। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১১,৫৫০ জনের। সুস্থ ৭,৩৯,৫৩২ জন। অ্যাকটিভ কেস ১৩,৯০৭। উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৯,১৪৮। মৃত ৭৪৮০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪,৮৮,৯১১ জন। অ্যাকটিভ কেস ২২,৭৫৭। দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১০,৬৩০। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮০৪১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৫৯,৩৬৮ জন। রাজধানী শহরে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৩,২২১।
এদিকে, দেড় মাসেরও বেশি সময় পর সুস্থতার সংখ্যাটা নতুন আক্রান্তেরও নিচে নেমে এসেছে। কিছুটা হলেও বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮০৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৮৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪১০ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অর্থাৎ অ্যাকটিভ কেস সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯৪ জন।