যে হারে জ্বালানি, বিমানবন্দরের চার্জ, কর্মীদের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়েছে, সেই তুলনায় ভাড়া বাড়েনি। তাই গত ক’বছর ধরে ভারতের প্রায় সব বিমান সংস্থাই লোকসানের শিকার হচ্ছিল। এরই মধ্যে বিপাকে পড়া ভারতীয় বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রকে আরও খাদের ধারে ঠেলে দিয়েছে লকডাউন। ২০১৯ সালের শেষ চার মাসে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে তাদেরও। এই পরিস্থিতিতে টনি ফার্নান্ডেজের এয়ার এশিয়া গোষ্ঠী ভারত থেকে সরতে চায় বলে বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এবার তাকে বাড়তি মাত্রা দিল মালয়েশিয়ার সংস্থাটির বিবৃতি। মঙ্গলবার তারা জানাল, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া তাদের পুঁজি শুষে নিচ্ছে। দুর্বল হচ্ছে আর্থিক অবস্থা। পরিস্থিতির পর্যালোচনা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এ ভাবে দেশে কম দামি উড়ান পরিষেবা থেকে হাত গোটানোর পথ খোলা রাখল তারা।
উল্লেখ্য, টাটা সন্সের সঙ্গে এয়ার এশিয়া গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগটি ব্যবসায়িক দিক দিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে অনেক দিন ধরে। এয়ার এশিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাড়ছে যাত্রী। অথচ ভারতে ব্যবসা চালাতে গিয়ে ক্রমাগত পুঁজি বেরিয়ে যাচ্ছে।