সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর জামিন মঞ্জুর প্রসঙ্গে একাধিক টুইট করেছিলেন কুণাল কামরা। তাঁর সেই মন্তব্য শীর্ষ আদালতের মর্যাদা খর্ব করছে বলে অভিযোগ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার মামলা দায়ের হয়। তা সত্ত্বেও মাথা নত করতে নারাজ এই বিখ্যাত স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। শুক্রবার নতুন একটি পোস্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন, গোটা ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
গতকালই আদালত অবমাননার জন্য মামলা দায়েরের অনুমতি দেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। কিন্তু এরপরও নিজের অবস্থানে অনড় কুণাল। তিনি এমন টুইট করে ভুল করেছেন, তেমনটা মানতে রাজি নন। আর ঠিক এই কারণেই জানিয়ে দেন, টুইটটি তুলে নেওয়া কিংবা ক্ষমা তিনি চাইবেন না। কে কে বেণুগোপালকে উদ্দেশ করে একটি লম্বা চিঠি পোস্ট করেন তিনি। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, “কোনও আইনজীবীর প্রয়োজন নেই, কোনও ক্ষমা চাওয়া নয়, কোনও জরিমানা নয়, কোনও জায়গার অপচয় নয়।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার এক মামলায় অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। বম্বে হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আর্জি। অবশেষে বুধবার সেই আর্জি মঞ্জুর করে দেশের শীর্ষ আদালত। আটদিন পর জেল থেকে মুক্তি পান রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ। শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি অনেকেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেন। উত্তাল হয় নেটদুনিয়া। রায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়েরই নিন্দা করে বসেন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কুণাল।
অর্ণব জামিন পেতেই কমেডিয়ান কুণাল টুইটারে লেখেন, “ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বিমান সেবিকা, তিনি ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের শ্যাম্পেন পরিবেশন করছেন। অথচ আমজনতা জানেন না, তাঁরা আদৌও সেই বিমানে কোনওদিন উঠতে পারবেন কি না।” এই টুইটের পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের আর্জি জমা পড়ে। তবে এতকিছুর পরও নিজেকে দোষী মানতে নারাজ কুণাল। অর্ণব-কুণাল তরজার এই জল যে অনেক দূর গড়াবে, তা পরিষ্কার।