বিহার ভোটে অল্পের জন্য হারার পর অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন মহাগঠবন্ধনের নেতা তেজস্বী যাদব। পাশাপাশি ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ আনলেন বিহারের মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী। যে সমস্ত আসতে তারা সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন, সেখানে ফের ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। লালু-পুত্রের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী ও নীতীশজি আমাকে হারাতে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্ত আরজেডিকে একক বৃহত্তম দল হওয়া থেকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।’
এদিন পাটনায় নব নির্বাচিত আরজেডি বিধায়কদের বৈঠক ছিল। সেখানে দলনেতা নির্বাচিত করা হয় তেজস্বী যাদবকে। ৭৫ আসন পেয়েছে আরজেডি, বিজেপির থেকে একটি বেশি। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভা যদিও ১২৫ আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। সেই প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন যে তাঁরা ম্যান্ডেট পেয়েছেন কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে জিতল এনডিএ। প্রসঙ্গত, এর আগে আরজেডির পক্ষ থেকে গণনার অন্তিম লগ্নে দাবি করা হয় যে তারা ১১৯টি আসনে জিতলেও মাত্র ১০৯-এর ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্ষেত্রে নীতিশ কুমারের চাপে পড়ে কারচুপি করছে প্রশাসন বলে অভিযোগ করা হয়। তবে এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করা হয় ও বলা হয় যেখানে যেখানে ব্যবধান খারিজ হওয়া পোস্টাল ব্যালটের থেকে কম, সেখানে সেই সব ব্যালট ফের খতিয়ে দেখা হবে।
সবমিলিয়ে মোট ১১ আসনে হাজারের কমে হার জিতের ফয়সলা হয়েছে। একটি আসনে ১২ ভোটে জিতেছে এনডিএ প্রার্থী। ভোট গণনার দিন তেজস্বীর ঘনিষ্ঠ মনোজ ঝা বলেছিলেন যে তাদের প্রশ্ন স্থানীয় প্রশাসনকে ঘিরে, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে নয়। কিন্তু আজ ঘুরিয়ে ইসিকে দুষলেন তেজস্বী। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে ২০১৫ সালে বিজেপি জনাদেশ না পেলেও পরে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। তেজস্বী বলেন যে অনেক চেষ্টা করেও আরজেডিকে একক বৃহত্তম দল হওয়া থেকে রুখতে পারল না বিজেপি ও জেডিইউ। প্রসঙ্গত, বিজেপির থেকে একটি আসন বেশি জিতলেও অনেক বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল তেজস্বীর দল। আসন জেতার স্ট্রাইক রেটের নিরিখে এবার অনেকটাই এগিয়ে ছিল বিজেপি।