গোটা দিন ধরে চলা ভোট গণনার শেষে বিহারে এনডিএ জোট জিতলেও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে মহাজোট তাদের কড়া টক্কর দিয়ে প্রমাণ করেছে যে মোদী ঝড়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এতটাও কঠিন নয়। বিজেপির জয়রথ অপরাজেয় নয়। বিহারে মহাজোটের হারে তেজস্বী ধাক্কা খেলেও জাতীয় স্তরে নিজের জন্যে একটি স্থান তৈরি করে নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসাবে সবথেকে বেশি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে তেজস্বী যাদবের দল৷ মোট ৭৫টি আসন পেয়েছে আরজেডি৷ যেখানে নির্বাচনের প্রচারের সময় তেজস্বী পাশেই পাননি বাবাকে। একাই একের পর এক সভা করেছেন। একদিনে ১৭টি সভা করে রেকর্ড করেছেন। মোদী-নীতীশের ডবল ইঞ্জিন-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহাজোটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এত কিছুর পর ক্ষমতায় আসতে না পারলেও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি।
বাবার ছায়া থেকে বের হয়ে এসেছেন। নিজে হাতে তুলে নিয়েছেন দায়িত্ব। আর তা পালনে যে তিনি সফল তা প্রমাণ করে দিয়েছে বিহারের ফলাফল। লালু প্রসাদের শাসন কালের প্রসঙ্গ টেনে এনে বিজেপি তাঁকে বারংবার জঙ্গলের যুবরাজ বলে কটাক্ষ করুলেও তেজস্বী যাদব কিন্তু দমে যাননি। প্রচার ময়দানে মারকাটারি ইনিংস খেলেছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিহারের রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। নিঃসন্দেহে বিহার নির্বাচনের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তেজস্বীই।