পড়শি রাজ্য বিহারে টানটান উত্তেজনার মধ্যে জয় হাসিল করলেও ঝাড়খণ্ডে দুটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে শাসকগোষ্ঠীরই জয়জয়কার। দুমকা এবং বারমো কেন্দ্র ধরে রাখল শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেস। দুই কেন্দ্রেই ধরাশায়ী বিজেপি। জেএমএম প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ছোট ভাই বসন্ত সোরেন বিজেপির প্রার্থী লইস মোরান্ডিকে সাড়ে ছয় হাজার ভোটে হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, বারমো কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী কুমার জয়মঙ্গল ওরফে অনুপ সিং হারিয়েছেন বিজেপির যোগেশ্বর মাহাতো বাঁটুলকে। প্রায় ১৪ হাজার ভোটে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। আগে এই দুটি কেন্দ্র জেএমএম এবং কংগ্রেসের দখলেই ছিল। দুই বিধায়কের মৃত্যুর ফলে উপনির্বাচন হয়। তবে প্রত্যাশিত ফলাফলই হয়েছে।
অন্যদিকে, হরিয়ানার বরোদা বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরে গেলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান তথা বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী যোগেশ্বর দত্ত। নিজেদের শক্তঘাঁটি ধরে রাখল কংগ্রেস। গত বছরও কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী শ্রী কৃষণ হুডার কাছে হেরে যান যোগেশ্বর। মোদীজির সেবক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া যোগেশ্বর এবার হারলেন কংগ্রেসের ইন্দু রাজ নারওয়ালের কাছে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, নারওয়ালের থেকে ৯ হাজারেও বেশি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন যোগেশ্বর। গেরুয়া শিবির হার স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি ওম প্রকাশ ধানকর টুইট করে জানিয়েছেন, আগেও বরোদা আসন কংগ্রেসের ছিল। আমরা সুযোগ পেয়েও জিততে ব্যর্থ। কংগ্রেসের হাতেই থাকল এই আসন। আমরা জনমত মেনে নিচ্ছি। কংগ্রেস বিধায় শ্রী কৃষণ হুডার মৃত্যুর পর গত ৩ নভেম্বর এই আসনে উপনির্বাচন হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভুপিন্দর সিং হুডার গড় বলে পরিচিত বরোদা কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটানো সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু বিজেপি প্রাক্তন অলিম্পিয়ান যোগেশ্বর দত্তকে টিকিট দিয়ে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যোগেশ্বরের জন্য ববিতা ফোগাট থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার পর্যন্ত নির্বাচনী সভা-মিছিল করেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হল না।