‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো না তো নন্দীগ্রাম…’। মঙ্গলবার সকাল যেন এই স্লোগানেই শুরু হল। আজ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবস। নন্দীগ্রামে এদিন শহীদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ান, রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর উপস্থিত থাকার কথা। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারীও থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম দিবসের সকালে টুইট করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখলেন, ‘আজ নন্দীগ্রাম দিবস। নতুন সূর্যোদয়ের নামে মানুষের উপর বর্বরোচিত আক্রমণের ১৩ বছর পূর্তি। রাজনৈতিক হিংসায় সারা বিশ্বে প্রাণ হারানো প্রতিটি মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ রইল। দিনের শেষে শান্তির জয় হব। এই আশা রাখি।’
নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, আজ তৃণমূলের সভায় নন্দীগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এমনকী নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারানো মানুষদের পরিবারের লোকেরাও এই সভায় হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে শিল্পনগরী হলদিয়ার কাছেই নন্দীগ্রামে ইন্দোনেশিয়ার সালেম গোষ্ঠী কেমিক্যাল হাব গড়ে তোলার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে চাইলে শুরু হয় নন্দীগ্রামের দরিদ্র কৃষক শ্রেণীর আন্দোলন। সেদিন তৃণমূলের সমর্থনে প্রতিবাদী কৃষকদের নিয়ে গঠিত হয় কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। এরপর শুরু হয় উপর্যুপরি আন্দোলন। রাস্তা কেটে, রাস্তায় গাছ ফেলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, এরপরই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। আহতও হন বেশ কয়েকজন।