আগামী পরশু, বুধবার থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় সাধারণ মানুষের জন্য চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। এই কোভিড আবহে রেল ও রাজ্য প্রশাসনের এখন সব থেকে বড় চিন্তা রেল পরিষেবার সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যই এদিন বিকালে আবারও বিশেষ বৈঠক বসেছে নবান্নে। তাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবহণ দফতরের সচিব, স্বাস্থ্যসচিব-সহ ১০টি জেলার জেলাশাসকেরা, পুলিশ সুপাররা ও পুলিশ কমিশনাররা ও রেলের আধিকারিকরা ছিলেন।
এদিকে শহরতলির লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়টি ঠিক হয়ে গেলেও রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে লোকাল ট্রেন কবে চালু হবে তা নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা করেনি পূর্ব, দক্ষিন-পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তার জেরে ওইসব জেলায় এবার দাবি উঠতে শুরু করেছে দ্রুত লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য।
রাজ্যে এখন কোভিডের সংক্রমণ কমে না গেলেও অনেকতাই বেড়ে গিয়েছে সুস্থতার হার। কিন্তু লোকাল ট্রেন চালু হলে সেই সুস্থতার হার কতখানি বজায় থাকবে তা নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই, উল্টে রাজ্যের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন সংক্রমণ আরও ভয়াল আকার ধারন করবে দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে। তাই রেল ও রাজ্য যতটা সম্ভব লোকাল ট্রেনে ভিড় কম রাখতে চাইছে। যদিও তা আদৌ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন থাকছে তেমনি তেমনি ট্রেনের মধ্যে সবাই কোভিড বিধি কতখানি মানবেন তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।