অমিত শাহ দিল্লী পৌঁছনোর আগেই ভাঙন ধরল বঙ্গ বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনায় কংগ্রেসের শেষ দূর্গ বাদুড়িয়াও হাতছাড়া হল। কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম যোগ দিলেন তৃণমূলে।
ফের বিজেপি-কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। অমিত শাহের রাজ্য সফর শেষ হতে না হতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূণ বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিমের তৃণমূলে যোগদান। কংগ্রেস নেতা প্রয়াত গফফর সাহেবের ছেলে আব্দুর রহিমের জনভিত্তি অটুট। তাই প্রবল মমতা হাওয়ার মধ্যেও গত বিধানসভায় নিজের আসন ধরে রেখেছিলেন। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে নির্ণায়ক লড়াইয়ের আগে ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর।
উত্তর ২৪ পরগনার তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ‘হাত’ শক্ত ছিল। কিন্তু আবদুর রহিম তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আর একজনও কংগ্রেস বিধায়ক রইল না। ফলে একুশে সিপিএমের সঙ্গে জোট বাঁধলেও এই জেলায় লড়াইয়ের জন্য যোগ্য সৈনিক নেই অধীরদের হাতে। এদিন তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়ে আরেক বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর ভাইপো সিদ্ধার্থ মাহাতো যোগ দেন তৃণমূলে।
শনিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুখেন্দুশেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রমুখ। এদিন তৃণমূলে যোগ দেন কল্যাণ ব্যানার্জি, দেবকুমার মুখার্জি, সত্যজিৎ ব্যানার্জির মত একঝাঁক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা। প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মাহাতোর ছেলে সিদ্ধার্থ এবং প্রয়াত সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকের ছেলে শান্তনু প্রামাণিকও এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।