নির্বাচনের রাতের পর প্রথম বার প্রকাশ্যে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এসেই স্বকীয় ভঙ্গিতে শুরু করলেন অভিযোগ। অভিযোগ, বেশিরভাগই মিথ্যে। ভুল তথ্য দাখিল করে ক্রমাগত আঙুল তুলে গেলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেনের দিকে। অগত্যা ভাষণের মাঝপথেই সম্প্রচার বন্ধ করে দিল আমেরিকার বহু টিভি চ্যানেল।
১৭ মিনিটের ভাষণ ছিল ট্রাম্পের। সেখানে তিনি অভিযোগ করলেন, বাইডেন ‘বেআইনি ব্যালট’ ব্যবহার করে ‘আমাদের থেকে ভোট কাড়ছেন’। এই ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে এমএসএনবিসি চ্যানেলের উপস্থাপক বললেন, ‘আবার আমরা একটি অবাঞ্ছিত জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুধু থামাতে হচ্ছে না, শুধরেও দিতে হচ্ছে।’
ট্রাম্পের লাইভ কভারেজ বন্ধ করে দিয়েছিল এনবিসি ও এবিসি। সিএনএন-এর জেক ট্যাপার জানান, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভুল করে অভিযোগ করছেন, মানুষ নির্বাচনে চুরি করেছে। এটা শোনার থেকে খারাপ রাত আমেরিকার জন্য আর কিছু হতে পারে না।’ স্পিচে ট্রাম্প কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই নানা অভিযোগ আনেন। লড়াইয়ে জো বাইডেনের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেও তিনি দাবি করেন যে, তিনি ভোটে জিতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বৈধ ভোট গণনা করেন, তাহলে আমি সহজেই জিতে গিয়েছি। আর অবৈধ ভোট গণনা করলে ওরা আমাদের থেকে ভোট চুরি করেন।’ ট্রাম্পের মতে, মেইল-ইন ভোট প্রক্রিয়া আদতে ‘দুর্নীতি’। গোটা ভোটপ্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দিয়েছে।
ট্রাম্পের এই ভাষণের পরই রিপাবলিকান লমেকার টুইট করে বলেন, ‘আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। আর সব বৈধ ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগে কেউ জয়ী হয় না।’ এটা পাগলামির লক্ষণ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।