ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে ১৫০তম ম্যাচে গোল পেলেন লিওনেল মেসি। বুধবার ক্যাম্প ন্যু’য়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ডায়নামো কিয়েভকে ২-১ ব্যবধানে হারাল বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন এলএমটেন। বার্সার অপর গোলটি জেরার্ড পিকের। কিয়েভের গোলদাতা ভিক্টর শিয়ানকোভ। চলতি মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিল কাতালন ক্লাবটি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘জি’র শীর্ষে বার্সেলোনাই। তবে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে এখনও ব্যর্থ রোনাল্ড কোম্যানের দল। কিয়েভকে হারানোর পর বার্সা কোচের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে তাই স্বস্তির ছাপ দেখা গেল না। প্রথমার্ধে প্রাপ্ত সুযোগের অর্ধেক কাজে লাগাতে পারলে বড় ব্যবধানে জিততে পারত বার্সা।
লা লিগায় পরপর পয়েন্ট নষ্ট করার জেরে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন কোচ কোম্যান। বুধবারও রক্ষণে জেরার্ড পিকের সঙ্গে ডে জংকে খেলান তিনি। ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বে বক্সের মধ্যে মেসিকে ফাউল করেন ডায়নামো ডিফেন্ডার ডেনিস পপোভ। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। যা থেকে লক্ষ্যভেদে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি (১-০)। উল্লেখ্য, চলতি মরশুমে চারটি গোলই পেনাল্টি থেকে করলেন মেসি। এর মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। প্রথমে পেড্রির শট পোস্টে লেগে গোললাইন থেকে ফিরে আসে। অরক্ষিত গ্রিজম্যান তা গোলে ঠেলতে ব্যর্থ হন। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফাতির ক্রস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ জেরার্ড পিকের (২-০)। ম্যাচে দু’গোল এগিয়ে যেতেই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন কোম্যান। লেঙ্গলেট নামার পর যথেষ্ট অবিন্যস্ত দেখিয়েছে বার্সা রক্ষণকে।
হাঁটুর চোটের কারণে প্রায় আড়াই মাস মাঠের বাইরে ছিলেন বার্সার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। গত মরশুমে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে চোট সারিয়ে বুধবার মাঠে ফিরেই চেনা মেজাজে ধরা দেন তিনি। কমপক্ষে তিনবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ না করলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতেই পারত ইউক্রেনের দলটি।