গতকালই নবান্নে আগামী ডিসেম্বর থেকে সমস্ত শীতকালীন মেলার ছাড়পত্র একপ্রকার দিয়েই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পী ও নানা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের ডেকে তাঁদের উন্নয়ন বিষয়ক বৈঠকের মধ্যেই একথা জানিয়ে দেন তিনি। শিল্পীদের বিক্রিবাটা অনেকদিন বন্ধ। বৈঠকে সে কথা উঠতেই শিল্পীদের স্বার্থে মেলার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “মেলাগুলো আপনারা নিজেদের মতো স্টল করে শুরু করুন। সরকারও প্রোমোট করবে। মেলাগুলো শুরু হয়ে যাবে দেখুন ডিসেম্বরের মধ্যেই। এটা আমার ধারণা।” সরকার সবরকমভাবে এই গ্রামীণ শিল্পীদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে জানিয়ে দেন।
করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধের জেরে টানা আট মাস ধরে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ। অল্প পরিসরে কিছু ছাড়পত্রের বিনিময়ে সামান্য কিছু শ্রোতা-দর্শক নিয়ে আপাতত চলছে নানা অনুষ্ঠান। দুর্গাপুজোর সময় মণ্ডপ থেকে দূরে এভাবেই নিয়মের বেড়াজালেই জলসাকে ছাড় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গ্রামীণ শিল্প ও স্থানীয় লোকপ্রসার শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গ্রামীণ অর্থনীতির একটা বড় দিক।
শীতকালে এই ধরনের মেলার মাধ্যমে শিল্পীদের শিল্পকর্ম মানুষের সামনে আসে। প্রচুর কেনাবেচা হয়। লোকশিল্পীদের নানা জায়গায় ডাক পড়ে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সবই এখন বন্ধ। ফলে অর্থনীতির হালও নিম্নমুখী। সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও নানা ধাঁচের শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে সমস্যার কথা শোনান। তাঁদের সম্প্রদায়কে নানাভাবে সহযোগিতার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মাঝেই শিল্পীদের কথা শুনে নিজেই মেলার প্রসঙ্গ তোলেন।