প্রচার পর্বে ভোটব্যাঙ্ক দখলের জন্য জান লড়িয়ে দিয়েছিল শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। সেখানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। এবার আসল খেলা ভোট গ্রহণ পর্বেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ডার্ক হর্স হয়ে উঠে আসতে পারে একাধিক শিবির। একনজরে দেখা যাক কিছু জটিল ভোট অঙ্ক।
বিহারে ২০১৫ সালে মোদী হাওয়া চরমে ছিল। তবে তাকে উড়িয়ে কার্যত বিহারের মসনদ দখল করেছিল লালু-নীতিশের জোটশিবির। তবে এবার খেলা অন্য! আজ দ্বিতীয় পর্বের ভোটে যে গোটা উত্তর বিহার ভোট দিচ্ছে, সেখানের আসনগুলির অর্ধেক আসান গত নির্বাচেন বিজেপি দখলে রেখেছিল। ফলে এবার গড় ধরে রাখার লড়াইয়ের সঙ্গে গড় দখলের লড়াইও প্রয়োজন নীতিশ ক্যাম্পের। এনডিএ এবার মূলত, মহিলা ভো ট ও ইবিসিকে ঘিরে জাতপাতের ভোটে ভরসা রাখছে। অন্যদিকে, কেবলমাত্র নীতিশ বিরোধিতাই অস্ত্র মহাজোটের। এদিনের ভোটে বিজেপি ৪৬ টি, জেডিইউ ৪৩ টি আসনে লড়ছে।
মনে করা হচ্ছে, বিহার বিধানসভা ভোটে এবার এনডিএর হাত ছেড়ে বের হওয়া এলজেপি ডার্ক হর্স হয়ে উঠতে পারে। এরা এদিনের লড়াইয়ে ৫২ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গোবলয়ের স্থানীয় দল আরএলএসপি ৩৬ জন প্রার্থী দিয়েছে এখানে। ফলে এনডিএকে ধাক্কা দেওয়ার মতো ক্ষমতা যেমন রয়েছে বহুদলের। তেমনই ভোটের ‘কিং মেকার’ হওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে এই দলগুলির। এদিকে, আরজেডি বেগুসরাইয়ের মতো লেনিন গ্রাদকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধিতায় উদ্যত। বেগুসরাইতে বামেদের অকটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। ফলে বিজেপি সহ এনডিএকে পরাস্ত করতে বামদলগুলিকে কাজে লাগানোর চেষ্টায় আরজেডি শিবির।