‘বিহারে আবার এনডিএ-ই ক্ষমতায় ফিরবে। বিহারবাসী সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।’ মঙ্গলবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটের মাঝেই এই কথা বলে বসলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী।
গত দু’সপ্তাহে এই নিয়ে চতুর্থবার বিহারে প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর নির্বাচনের মাঝেই এসব বলে বসলেন। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনায় মুখর হলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, নির্বাচনের মাঝে বিধি ভাঙলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টির দিকে নজর দিক নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ফোর্বসগঞ্জের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিহার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। প্রাথমিক যে তথ্য আমরা পেয়েছি, তাতে এটা স্পষ্ট যে বিহারে ফের এনডিএ সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করবে মানুষ। এখানকার ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তাঁরা রাজ্যকে নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন।’ তাঁর দাবি, এনডিএ সরকার বিহারের মহিলাদের জন্য যে কাজ করেছে, তাতে প্রত্যেক মহিলা তাঁদেরই ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। তাঁর কথায়, ‘গরিবদের অধিকার দিয়েছে এনডিএ সরকার। বিহারের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের নিজের পছন্দের মানুষকে বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমার সব মা ও বোনেরা এনডিএ সরকারের পাশে আছে। বর্তমান সরকার তাঁদের সমস্ত প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা মিটিয়েছে, তাই তাঁরা এনডিএ-কে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
এরপরই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনডিএ-কে ক্ষমতায় ফেরাতে বিহারবাসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে – এমন উক্তি নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের সামিল বলে মনে করছেন বিরোধী শিবির। উল্লেখ্য, প্রথম দফার ভোট চলাকালীন ‘চাকরি, ন্যায়, কৃষক-শ্রমিকদের স্বার্থে আপনারা মহাগঠবন্ধন-কে ভোট দিন’ বলে আবেদন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এবার মোদীর বিরুদ্ধে উঠল নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ।