মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা এখনও অজানা। সময় যত গড়াচ্ছে তুরস্কের পশ্চিম উপকূল ও গ্রিসের একাংশের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে। শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২২জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন ভূতত্ত্বের হিসেব বলছে, সামোসের লিওন কার্লোভাসিওন শহরের ১৪ কিমি দূরে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র হলেও ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে ছিল এটির কেন্দ্রস্থল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের রিসর্ট শহর ইজমিরে। সেখানে জোরালো কম্পনের কারণে অন্তত ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টারও। এর মধ্যে সেসমি ও সেফেরিহিসারিনের রাস্তা জলের জলায় চলে গিয়েছে। সেইসব ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
তুরস্ক ও গ্রিসে মূল ভূমিকম্পের পর একাধিকবার আফটারশকের খবর মিলেছে। ১৯৬ বার আফটারশকের পর তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের ইতিমধ্যে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.০। রাত পর্যন্ত মৃত্যুসংখ্যা ছিল ১৪। আহতের সংখ্যা ছিল ৪০০। এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পের দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি তুরস্ক ও গ্রিস। ভূমিকম্পের তীব্রতায় আজিয়ান সাগরের জলস্তর বেড়ে গিয়ে ছোটখাটো সুনামির আকার নিয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই তুরস্কের পশ্চিমাংশ উপকূলের অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রাণ গিয়েছে গ্রিসের সামোস দ্বীপের কয়েক জনেরও।