আইপিএল ২০২০-এর প্লে-অফে কোন দল আগে পৌঁছবে, তা নিশ্চিত করতেই গতকাল সম্মুখ সমরে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান তুলেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন আরসিবি। এরপর মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সময় কোহলি মাঠে নানাভাবে তাঁদের মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেও সফল হননি। শেষমেশ ম্যাচ জিতে একধাপ এগিয়ে যায় মুম্বই শিবির। একইসঙ্গে মাঠে বিরাটের আচরণ নিয়েও সরব হলেন নেটিজেনরা।
বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে ৪৩ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচ জিতিয়ে ‘আমি আছি’ গোছের শারীরিক ভাষা ফুটিয়ে সদম্ভে মাঠ ছাড়েন মুম্বইকর। সূর্যর দুরন্ত ইনিংসে ভর করে পাঁচ বল বাকি থাকতেই আরসিবি-র দেওয়া লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে আইপিএল ২০২০-এর প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলে রোহিত শর্মা শিবির।
এদিকে, ম্যাচ চলাকালীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলি শিবির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৫ উইকেট ফেলতে সক্ষম হলেও ক্রিজের অন্যদিকে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ সূর্যকুমার যাদব। তাঁকে হারাতে ব্যর্থ হয়ে একাধিকবার মাথা গরম করে ফেলেন আরসিবি অধিনায়ক। এগিয়ে গিয়ে সূর্যকে স্লেজও করে বসেন বিরাট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ইনিংসের ১৩তম ওভার শেষ হওয়ার পর ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রানে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৫ বলে খেলে ৪০ রান করে ক্রিজে দাঁড়িয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। সেই সময় আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে এগিয়ে এসে সূর্যর পাশে দাঁড়িয়ে চোখ রাঙাতে দেখা যায়। যদিও নীরবে তা সহ্য করে নেন মুম্বই ব্যাটসম্যান। স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের এক ওভারে মুম্বই ব্যাটসম্যানকে লক্ষ্য করে বল ছুঁড়তেও দেখা যায় আরসিবি অধিনায়ককে।
শুধু আরসিবি নয়, টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলির থেকে স্বদেশী ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে এমন আচরণ বরদাস্ত করতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোলডও হতে হয়েছে। কেউ কেউ আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেও সূর্যকুমার যাদবের জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া ইস্যুতে বিসিসিআই ও বিরাট কোহলির রাজনীতির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।