তাঁর দল ক্ষমতায় এলে জেলে যেতে হবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। বিহার বিধানসভা ভোট শুরুর মুখে রবিবার এক জনসভায় এমনই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। তিনি বলেন, ‘বিহারে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। মদের চোরাই বিক্রি ব্যাপকভাবে চলছে। নীতীশ কুমার তার বিনিময়ে ঘুষ নিচ্ছেন। আমরা ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর অফিসাররা গরাদের পিছনে থাকবেন।’
এদিন টুইট করে ‘নীতীশ-মুক্ত সরকার’ গড়ার ডাক দিয়ে তিনি তাঁর দলের জন্য বিজেপি সমর্থকদেরও কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘একটি প্রকল্প, ‘বিহার প্রথম, বিহারবাসী প্রথম’-কে সার্থক করতে আপনাদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করছি এলজেপি প্রার্থীদের জন্য। সকলে বিজেপিকে ভোট দিন। আগামী সরকার হবে নীতীশ-মুক্ত সরকার।’
এদিকে, নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকেও। এক জনসভায় আগত দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, এই ভিড় প্রমাণ করছে সকলে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে কতটা রেগে রয়েছেন। কেবল রাগই করেননি, তাঁরা ঘৃণা করছেন ‘শক্তিহীন, রক্ষণশীল ও সংকীর্ণমনা’ নীতীশ কুমারকে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, মানুষ এবারের বিহার নির্বাচনে জাতপাত, শ্রেণি বিভাজনকে সরিয়ে রেখে বেকারত্বের ইস্যুকে মাথায় রেখে ভোট দেবেন। নীতীশ কুমার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, উনি শক্তিহীন হয়ে বিরক্তিকর, অর্থহীন ভাষণ দিচ্ছেন ও কাজ করছেন। নীতীশ কুমার ক্লান্ত। বিহারকে সামলানোর ক্ষমতা আর ওঁর নেই।’
প্রসঙ্গত, একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত জমি ফিরে পাচ্ছেন তেজস্বী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দের তালিকায় নীতীশকে সমানে টক্কর দিচ্ছেন লালুপুত্র। শেষদিকে তাঁর একাধিক জনসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে নীতীশ কুমারকে দেখা গিয়েছে একাধিক জনসভায় মেজাজ হারাতে।