বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজেপি ভেঙে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক লেগেছে। এমনকি ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও সরাসরি অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে আসার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি, সিপিআইএম-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এরফলে আগামী ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনও মজবুত হয়েছে তৃণমূলের। তবে এই অভিযানকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তারপরই আরও ৫ জন বিজেপি নেতাকে নিজেদের দলে নিয়ে এসে যোগ্য জবাব দিল তৃণমূল।
২০১৯-এ কোচবিহার জেলায় ভাল ফল করেছিল বিজেপি। তবে এবার ২০২১-এর আগে তার উলটপুরান ঘটিয়ে বিজেপিতেই ভাঙন ধরিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা দেখেই সায়ন্তন বসু বলেন, এটা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান নয়, আসলে তৃণমূল থেকে তৃণমূলে ভাঙন চলছে। গত কয়েকদফায় যোগদানের পর সায়ন্তন বসু জেলা ছাড়ার পর বিজেপির যুব মোর্চার পাঁচ নেতা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।
সেই অনুষ্ঠানেই বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করেছে, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারা যত আসবেন, তত বিজেপি থেকে নেতারা তৃণমূলে যোগদান করবেন। আবার এরই মধ্যে প্রথমবার উত্তরবঙ্গ সফর এসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের ভোট কৌশলীর সঙ্গে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসেছিলেন। অভিষেক-পিকের সফরকালেই কোচবিহারে বিজেপির ভাঙন প্রবণতা দেখে আশাবাদী শাসকদল। এভাবেই জেলায় জেলায় নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করে বিজেপি শিবিরে কাঁপুনি ধরাতে মরিয়া তৃণমূল।